নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারিবর্ষণে বরগুনায় তলিয়ে গেছে তরমুজ ক্ষেত, পানিতে ভাসছে তরমুজ। নেই ক্রেতা, অন্যদিকে মাঠ থেকে তরমুজ তুলে আনতে পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় শ্রমিকও। সব মিলিয়ে বিপাকে এখন বরগুনার তরমুজ চাষিরা।
বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের নিমতলী গ্রাম। এ বছর তরমুজের ফলন দেখে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তরমুজ চাষিরা। ইতোমধ্যেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হয়েছে বরগুনার তরমুজ। খানিকটা বাড়তি মূল্য পাওয়ার আশায় কারো কারো ক্ষেতে এখন ভরা রয়েছে তরমুজ।
আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সেসব ক্ষেত। আবার শ্রমিকের অভাবে ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলতে পারছেন না চাষিরা। নিমতলী গ্রামের মতো তরমুজ ক্ষেতের এমন বেহালদশা সদর উপজেলার আমতলী, চৌমুহনী, পরীখাল ও চালিতাতলীসহ বিভিন্ন গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজ চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, আগাম ফসল ঘরে তোলার বিষয়ে কৃষি বিভাগের যথাযথ নির্দেশনা থাকলে এতটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো না। তাদের প্রায় সবার ক্ষেতেই তরমুজ ও মুগডাল ডুবে নষ্ট হচ্ছে। তাই লাভের স্বপ্ন দেখা চাষিরা এখন দুঃস্বপ্নের প্রহর গুনছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, এ বছর বরগুনা জেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
অশনির প্রভাব মোকাবিলায় আগাম ফসল ঘরে তুলতে প্রচার-প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে লোকবল সংকটের কারণে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।