নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় নানার বাড়িতে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই অভিযুক্তের নাম বশার বয়াতি ওরফে ছ্যানা বশার (৩১)। তার বাড়ি উপজেলার সামুদাবাদ গ্রামে। বুধবার রাতেই রাঙ্গাবালী থানায় বশারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গলাচিপা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়- ছোটবেলা থেকেই উপজেলার সদর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে বসবাস করতো শিশুটি। গত ২৪ এপ্রিল রাতের আঁধারে তাকে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্ত বশার।
জানা গেছে, তরমুজ চাষ করতে গিয়ে বশারের আনাগোনা বাড়ে চরকাশেমে। কুনজর পড়ে ওই নাবালিকার ওপর। স্থানীয়রা জানান, লোকলজ্জা এবং অভিযুক্তের ভয়ের কারণে বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল।
কিন্তু ঘটনার দুই সপ্তাহ পর বুধবার বিকালে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে সালিশ বৈঠক থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বশার। পরে তাকে আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বশার এক সময় ছ্যানা (ধারালো দা প্রকৃতির) হাতে লোকজনের সামনে লাফিয়ে পড়তেন। যার কারণেই তিনি এলাকায় ছ্যানা বশার হিসেবে পরিচিত।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।