নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুর শহরে জমির মালিকানা দাবি করে দালানঘর ভেঙে ঘরের মধ্য থেকে দেয়াল তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
এ সময় ওই পরিবারের ৩ সদস্যকে মারধর করে বেঁধে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে।
তবে ঘরটির দরজা জানালা ভেঙে ফেলায় মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে পরিবারটি।
গত ২৫ এপ্রিল পিরোজপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে কালিবাড়ী রিকশা স্ট্যান্ডের কাছে কাঁঠালতলায় এ হামলা ও মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত রাধা রানী জানান, তার স্বামী অশোক কুমার করের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই দুর্গাপ্রসাদ কর এবং চাচাতো বোন ঊমা রাণী দত্ত এর সঙ্গে পৈত্রিক ৬৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে পিরোজপুরের আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
রাধা রানী অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে দুর্গাপ্রসাদ এবং ঊমা রাণী এর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে একটি মেহগনি গাছ কাটতে শুরু করে।
এ সময় তার স্বামী অশোক তাদের বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তার হাত ও পা বেঁধে মারধর করে এবং হাত পা বাঁধা অবস্থায় উঠানে ফেলে রাখে। এরপর হামলাকারীরা তাদের ছেলে অন্ময় করকে একইভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।
পরবর্তীকালে রাধা তাদের মুক্ত করতে এগিয়ে গেলে তারও হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।
এরপর তাদের ঘর ভাঙচুর চালিয়ে আলমারিতে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন, ব্যাংকের চেক বই, একটি ফ্রিজ, এফডিআর’র কাগজপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়।
এ সময় হামলাকারীরা ঘরের সামনের পারিবারিক মন্দিরটিও ভেঙে ফেলে।
পরবর্তীকালে দ্বিতল ভবনের নিচতলা ভেঙে তাদের দখলে থাকা দুই তৃতীয়াংশ জমি দখল করে তার মধ্য থেকে প্রায় ৮০ ফুট লম্বা একটি দেওয়াল তুলে দেয় হামলাকারীরা।
এ ঘটনার পর পুরো পরিবারটিই মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জ. মো. মাসুদুজ্জামান।
তবে হামলার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত উমাকে গ্রেফতার করেছে এবং অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া পরিবারটির নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান ওসি।